টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর হয়ে মিয়ানমার থেকে গাবাদী পশু আমদানী কিছুটা কমেছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহওয়ার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। তবে কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে এ পশু আমদানী বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর এর জন্য ইতিমধ্যে বিজিবির উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকও করেছেন।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, আগস্ট মাসে শাহপরীর দ্বীপ করিডোর হয়ে গাবাদী পশু আমদানী হয়েছে ২ হাজার ৫৪৭টি। যার মধ্যে গরু ছিল ১ হাজার ১৬০ টি। মহিষ ছিল ১ হাজার ৩৭৬ টি, ছাগল ছিল ১১ টি। আর পশু আমদানীর ক্ষেত্রে সরকার রাজস্ব পেয়েছেন ১২ লাখ ৭০ হাজার ২০০ টাকা।
তিনি জানান, কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা সেপ্টেম্বরের আরো ব্যাপকহারে পশু আমদানী করার চেষ্টায় আছেন।
শাহপরীর দ্বীপ জেটি ও হাটবাজারের ইজারাদার মৌলভী নুরুল হক জানান, মিয়ানমার থেকে ট্রলারযোগে এসব গবাদি পশু আমদানি করা হয়। আগস্ট এক মাসের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর দিয়ে যে পরিমাণ গবাদি পশু আমদানি করা হয়েছে তা ২০১৫ সালের তুলনায় তা অনেক কম।
তিনি আরও জানান, কোরবানি উপলক্ষে পশু আমদানি ক্রমাগত বাড়চ্ছে। এসব পশুর মূল্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে রয়েছে। চট্টগ্রাম, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো হচ্ছে এসব পশু।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর হয়ে মিয়ানমার থেকে ২৭ হাজার ৭৭৩টি পশু আমদানি হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের আগে আরও ১৫ হাজার পশু আমদানি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
করিডোর পশু আমদানী আমদানীকারক মৌলভী বোরহান উদ্দিন জানান, গত এক মাসে বার শতাধিক গবাদি পশু আমদানী করেছেন তিনি। আবহাওয়া ভাল থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আরও ২ হাজার এর বেশি গবাদি পশু আমদানী করবেন।
শাহপরীরদ্বীপ করিডোর ব্যবসায়ী সমিতির আবুল কাশেম জানান, ঈদের আগের আরও ১০ হাজার পশু আমদানির টার্গেট রয়েছে তাদের। মিয়ানমার থেকে আসা পশু গড়ে প্রতি মণ ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে পশু আমদানী বাড়ছে বিজিবির টেকনাফস্থ ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে ২৯ আগস্ট ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. তানভীর আলম খান, বিজিবির টেকনাফস্থ ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা সভায় পশু আমদানী বাড়তে নানা সিদ্ধান্তও নেন।
বিজিবির টেকনাফস্থ ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ জানান, গাবাদী পশু আমদানীর ক্ষেত্রে বিজিবি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। আশা করা হচ্ছে আমদানী বাড়বে।
পাঠকের মতামত: